স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০তম বার্ষিকীতে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শতবর্ষ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা সফরে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গোটা বাংলাদেশ জুড়ে মোদী-বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয় এই সফর শুরু হওয়ার অনেক আগের থেকেই। কিন্তু এই সফরের সময়ে বিক্ষোভ তুঙ্গে ওঠে।
শুক্রুবার, ২৬শে মার্চ ২০২১, রাজধানী ঢাকার বায়াতুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় জুম্মার নামাজের পরে ধর্মীয় সংগঠনগুলোর সদস্যরা বিক্ষোভ দেখানো শুরু করতেই তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ এর গুন্ডারা ও পুলিশ। এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের হাটহাজারি মাদ্রাসার ছাত্রদের মোদী-বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হলে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান তিন ছাত্র। মোট পাঁচজন এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে প্রাণ হারিয়েছেন মোদী-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্যে।
যদিও ভারতের কর্পোরেট মিডিয়াগুলো এই মোদী-বিরোধী বিক্ষোভ গুলো শুধু ইসলামী সংগঠনদের বা “পাকিস্তানপন্থীদের” বিক্ষোভ বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, তবুও আমরা দেখে নেব যে এই বিক্ষোভ কি শুধুই মৌলবাদী সংগঠনগুলোর? নাকি এই সংগঠনগুলোর বিক্ষোভের আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে ইন্ডিয়ার সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে জাগ্রত হওয়া বাংলাদেশের মানুষের ক্ষোভ? আলোচনা করলেন সৌম্য মণ্ডল।