বীরভূমের টিপু সুলতানের রাষ্ট্রীয় অপহরণ কি মমতার মোদীর হওয়ার প্রচেষ্টার আরো এক ধাপ?

রাজনীতি

তথাকথিত “ভারতীয় গণতন্ত্রের” জন্যে সবচেয়ে বড় বিপদ হিসাবে চিহ্নিত হওয়া ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) ভরাডুবি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গের অলিতে গলিতে প্রচার করা সত্ত্বেও, কোটি কোটি টাকা খরচ করেও বিজেপি নির্বাচনে জিততে পারেনি। আর মমতা বন্দোপাধ্যায়েতৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি-বিরোধী সকল ভোট কে একত্রিত করে অনায়াসে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসেন। শুধুই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নয়, বরং গোটা দেশের রাজনীতিতে বন্দোপাধ্যায় নিজেকে বিজেপির বিকল্প হিসাবে তুলে ধরেছেন। আর সেখানেই একটা সমস্যা হয়েছে।

বিকল্প দুই ধরনের হয়। এক ধরনের বিকল্প হল একটি বস্তুর গুণগত ভাবে ঠিক বিপরীত ধর্মী অন্য একটি বস্তু যা তার সমান স্থান ও পরিমাণ নিতে পারে, ইংরাজী ভাষায় যাকে বলা হয় অল্টারনেটিভ (alternative)। উদাহরণ স্বরূপ একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিকল্প হতে পারে একটি জনপ্রিয় সরকার, একটি দক্ষিণপন্থী শক্তির বিকল্প হতে পারে একটি বামপন্থী সরকার।

দ্বিতীয় ধরনের বিকল্প হল একটি বস্তুর স্থানে একই কাজ যে অন্য বস্তুটি করতে পারবে, যাকে ইংরাজী ভাষায় সাবস্টিটিউট (substitute) বলা হয়। উদাহরণ স্বরূপ দেশী ঘি না ব্যবহার করে সস্তা বনস্পতি ব্যবহার করা। নিজের গাড়ির জায়গায় ট্যাক্সি চাপা, কোকাকোলার জায়গায় পেপসি। এই ক্ষেত্রে দুই বস্তুর মধ্যে গুণগত কিছু পার্থক্য থাকলেও, মোটামুটি তারা একই কাজ করে।

বন্দোপাধ্যায় বিজেপির অল্টারনেটিভ না হয়ে সাবস্টিটিউট হয়ে উঠেছেন। উনি বিজেপির চেয়েও বড় ফ্যাসিবাদী, তা প্রমাণ করার জন্যে মরিয়া হয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

লকডাউন করে গরিবের পেটের ভাত মারা থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রেফতার করা, সবেতেই তিনি মোদী সরকার কে টেক্কা দিচ্ছেন। এমন কি ২৭শে সেপ্টেম্বরের কৃষকদের ডাকা ভারত বনধের ইস্যুগুলো কে তিনি মৌখিক ভাবে সমর্থন জানিয়েও বনধ ভাঙতে পুলিশ নামিয়েছিলেন। আর এই ঘটনাগুলোর থেকেও এক ধাপ এগিয়ে, বিজেপি-শাসিত গুজরাট বা উত্তর প্রদেশের মতন পশ্চিমবঙ্গেও তাঁর সরকার একটা ছোট্ট বিরতির পরে আবার গণ আন্দোলনের কর্মীদের উপর দমন পীড়ন করা শুরু করেছে।

বীরভূম জেলার গণআন্দোলন কর্মী টিপু সুলতান কে ১২ই অক্টোবর ২০২১ এর রাত সাড়ে এগারোটা তাঁর শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লীর বাড়ি থেকে ছয়-সাতজনের একটি পুলিশ বাহিনী গাড়ি করে এসে তুলে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে চারজন উর্দি পরেননি। বাড়িতে তখন সুলতান ও তাঁর দাদু ছিলেন।

সুলতান কে অত রাতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ কর্মীরা তাঁর দাদু কে জানান যে কিছু জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে তাঁর নাতিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলেই তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। এক প্রকার বলপূর্বক সুলতান কে নিয়ে যাওয়া হলেও কোন থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেটা যেমন জানানো হয়নি, তেমনি কোনো লিখিত নোটিসও তাঁর দাদুকে দেওয়া হয়নি।

পরের দিন নাতির খোঁজে বৃদ্ধ বোলপুর ও শান্তিনিকেতন থানায় বারবার গেলে তাঁকে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয় যে এই দুই থানায় কাউকে সেই রাতে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। এই থানাগুলোর পুলিশ আধিকারিকদের কাছে কোনো জবাব না পেয়ে সুলতানের দাদু ও সহকর্মীরা নানা মানবধিকার সংগঠনের দ্বারস্থ হন। সারা রাজ্য জুড়ে শোরগোল শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে যে পুলিশ কাউকে এই ভাবে বিনা ওয়ারেন্টে, বাড়ির লোককে নোটিস না দিয়ে আর গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টা পরেও আদালতে হাজির না করে গুম করে রাখতে পারে কি?

চাপ সৃষ্টি হওয়ায় হঠাৎ পুলিশের তরফ থেকে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরে জানানো হয় যে টিপু সুলতান কে ২০১৬ সালের একটি মামলায় ঝাড়গ্রাম পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং তাঁকে ১৪ই অক্টোবর ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হবে। সুলতান কে বেলপাহাড়ি থানায় ২৯ জানুয়ারি ২০১৬ তে দায়ের হওয়া কেস সংখ্যা ১১/২০১৬ তে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ১২০(বি), ১২১, ১২১(এ), ১২২, ১২৩, ১২৪(এ), অস্ত্র আইনের ধারা ২৫ ও ২৭, বিস্ফোরক পদার্থ আইনের ধারা ৩ ও ৪, ও কালা আইন বেআইনী কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন বা ইউএপিএ-র ধারা ১৮, ২০ ও ২৩ অনুসারে মামলা করা হয়েছে।

tipu-sultan-arrest

প্রশ্ন উঠলো মামলা দায়ের হওয়ার প্রায় পাঁচ বছর নয় মাস পরে, হঠাৎ এই ভাবে, রাতের অন্ধকারে বাড়ির থেকে গুম করে নিয়ে যেতে কেন হল অভিযুক্ত কে? পুলিশ এত গুলো বছরে কেন তাঁকে গ্রেফতার করেনি? এই ব্যাপার নিয়ে মানবধিকার সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস (এপিডিআর) এর পক্ষ থেকে ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করার চেষ্টা করা হলেও তিনি দেখা করেননি, কোনো জবাবও দেননি।এপিডিআর ঝাড়গ্রাম শাখা সম্পাদক অঙ্কুর মন্ডল টিপু সুলতানের মুক্তির দাবি তুলে এসপি দেখা না করলেও তাঁকে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন।

apdr-letter-jhargram-sp-tipu

এর সাথে কালক্রমে আরও একটি তথ্য দিলে পাঠকদের কেসটা সম্পর্কে বুঝতে সুবিধা হবে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে টিপু সুলতান কে আরো তিন জনের—সব্যসাচী গোস্বামী, সঞ্জীব মজুমদার ও অর্কদ্বীপ গোস্বামীর—সাথে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তখন তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০(বি), ১২১, ১২১(এ) ও ১২৪(এ) অনুসারে মামলা করা হয়। যদিও সরকার তখন তাঁদের নিষিদ্ধ ঘোষিত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) কর্মী হিসাবে অভিযুক্ত করে, এই তিন জন আসলে সেই সময়ে লালগড় অঞ্চলে সাত জন শবর আদিবাসীর অনাহারে মৃত্যুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে তথ্য সংগ্রহ করতে যান।

২০১৮ সালের এই মামলার সময় কিন্তু সরকার পক্ষ একবারও বলেনি যে টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে, যিনি ২০১৮ সালে ২৩ বছর বয়সী ছিলেন আর ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আনুমানিক ২০-২১ বছর বয়সী ছিলেন, এতগুলো সাংঘাতিক ধারায় মামলা করা আছে। তাহলে কি পুলিশ তখন ভুলে গিয়েছিল এই মামলাগুলোর কথা? আর যদি ভুলে গিয়েই থাকে তাহলে হঠাৎ এমন কী হল যে এখন পুলিশ ঘুম থেকে জেগে একে বারে দুয়ারে অপহরণ প্রকল্প চালালো? একটি ২০ বছরের ছেলে যে একটি ছাত্র সংগঠন করতো সে যে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধও করছিল তা কি পাঁচ বছর ধরে ভুলে থাকা সম্ভব?

টিপু সুলতানের মুক্তির দাবিতে ছাত্র, মানবধিকার কর্মীরা আন্দোলন করছেন। সভা সমিতিও হবে। কিন্তু একটা বড় ব্যাপার খুব একটা সামনে আসছে না কারণ পশ্চিমবঙ্গের নানা তথাকথিত মানবধিকার সংগঠন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ ধারণ করে রয়েছে। সুলতানের গ্রেফতারের পদ্ধতি ও তাঁকে অন্য জেলায় নিয়ে গিয়ে নানা ধরনের মামলা দিয়ে জেলবন্দী করার পদ্ধতির সাথে মিল পাওয়া যায় বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোতে, যেখানে মানবধিকার কর্মী, সাংবাদিক, প্রভৃতি কে মিথ্যা মামলায়, বিশেষ করে ইউএপিএ ব্যবহার করে, মিথ্যা মামলায় বন্দী করা হয়।

২০১৮ সালের কুখ্যাত ভীমা কোড়েগাঁও মামলায় যে ভাবে অসংখ্য মানবধিকার কর্মী, আইনজীবী, লেখক, বুদ্ধিজীবী, কবি, সাংবাদিকদের গ্রেফতার করে বিনা বিচারে, অন্যায় ভাবে বিজেপি জেলে বন্দী করে রেখেছে, যে ভাবে ফাদার স্ট্যান স্বামী কে জেলের ভিতর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে হত্যা করা হয়, যার বিরোধিতা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদেরাও করেন, তারই পথ বেয়ে চলেছেন বন্দোপাধ্যায়।

টিপু সুলতানের গ্রেফতার নিয়ে যখন তরজা তুঙ্গে আর ভাবলেশহীন ভাবে পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ মাধ্যমগুলো বন্দোপাধ্যায়ের স্তুতি গাইতে ব্যস্ত, তখনই শাহের গৃহ মন্ত্রক বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) নামক সীমান্ত রক্ষী আধা সেনা বাহিনীর, যা ভারত-পাকিস্তান ও ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাহারা দেয়, আইনে একটি বড় ধরনের সংশোধন করে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে বিএসএফ কে আন্তর্জাতিক সীমান্তের থেকে ৫০ কিমি অঞ্চলে তল্লাশি চালানোর, বাজেয়াপ্ত আর গ্রেফতার করার অধিকার দেওয়া হয়েছে যা এই যাবতকাল পর্যন্ত ১৫ কিমি অঞ্চল অবধি ছিল।

গুজরাট, রাজস্থান, পাঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরের সাথে যেমন পাকিস্তানের সীমান্ত আছে তেমনি পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, প্রভৃতি রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত আছে। এর মধ্যে গুজরাট ও উত্তর পূর্ব ভারতের সব কটি রাজ্যে যেহেতু বিজেপি ক্ষমতায়, তাই সেখানে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো জলঘোলা হয়নি। কিন্তু বিরোধী কংগ্রেস-শাসিত পাঞ্জাবে এই ঘটনা কে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর কেন্দ্রীয় সরকারের (সঙ্ঘ সরকারের) আক্রমণ হিসাবে দেখানো হয় ও সরকারি ভাবে প্রতিবাদ করা হয়। পাঞ্জাবের নব্য নিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চান্নি এই নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেও, নিজেকে মোদীর চরম বিরোধী হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া বন্দোপাধ্যায় কিন্তু এই ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজ্যের এক্তিয়ারে—আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে—হস্তক্ষেপ করা নিয়ে নিশ্চুপ রয়েছেন। শুধু দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আমতা আমতা করে বিবৃতি দিয়ে বিরোধিতা করেছেন। কী বার্তা দিতে চাইছেন বন্দোপাধ্যায় এই মৌনতার মাধ্যমে?

আজ এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে, জাতীয় রাজনীতিতে ভারতের ও বিদেশের বৃহৎ কর্পোরেট সংস্থাগুলোর কাছে—যারা মূলস্রোতের রাজনৈতিক দলগুলি কে অর্থের যোগান দেয়—নিজের পার্টি ও সরকার কে বিজেপির বিকল্প (substitute) হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন বন্দোপাধ্যায়। অর্থাৎ বিজেপির ফ্যাসিবাদ কে সরিয়ে বন্দোপাধ্যায় নিজের ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। তাতে যদি দমন পীড়নের মাত্রা বাড়াতে হয় তাহলেও তিনি যে পিছু হটবেন না সেই বার্তাই কি বন্দোপাধ্যায় তাঁর সরকারের এই সব কর্মকাণ্ড দিয়ে বোঝাচ্ছেন না?

পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা বিজেপি বিরোধিতার স্বার্থে বন্দোপাধ্যায় কে সমর্থন করে এসেছেন, তাঁদের আজ তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে জনগণের কাছে সাফাই দেওয়া উচিত যে কী কারণে রাজ্য সরকারও সব বিষয়ে কেন্দ্রের লেজুড় হয়ে চলবে? কেন বিজেপির চেয়ে বেশি বিজেপি হওয়ার চেষ্টা করবে? আর কী ভাবে তাঁদের মনে হয় যে এই রাজ্যে টিপু সুলতান ও অন্যান্য গণ আন্দোলনের কর্মীদের উপর দমন পীড়ন বন্ধ হবে?

পশ্চিমবঙ্গে যে ভাবে বিজেপির সংগঠন তৃণমূল কংগ্রেসে বিলীন হয়ে যাচ্ছে, যে ভাবে একের পর এক বিজেপির বড় নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন আর যেমন ভাবে বিজেপির অভিভাবক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিবাদের দর্শন কে বন্দোপাধ্যায় আপন করে নিয়েছেন তাতে বিজেপি আর তৃণমূল কংগ্রেস যে আদর্শগত ভাবে আলাদা, সেটা বোঝার কোনো সম্ভাবনা নেই। যাঁরা আজও বিজেপির জুজু দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সামনে জনগণ কে মাথা নত করে থেকে বন্দোপাধ্যায় কে সমর্থন করতে বলবেন তাঁরা আসলে বিজেপিরই স্বার্থ রক্ষা করবেন।

এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি বিজেপি আর তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে লুটের মালের মতন ভাগ হয়ে রয়েছে। সরকার পক্ষে আছে নব্য হিন্দুত্ববাদী তৃণমূল কংগ্রেস আর বিরোধী হল হিন্দুত্ববাদী বিজেপি। আরএসএস এর আদর্শে দীক্ষিত লোক দুই দলেই ভর্তি। যদি কাল তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পতন হয় তাহলে প্রধান বিরোধী হিসাবে ক্ষমতা দখলের দৌড়ে বিজেপি এগিয়ে থাকবে। তাহলে গণতান্ত্রিক অধিকার আরও ক্ষুণ্ণ হবে, আরও বেশি টিপু সুলতানদের জেলে বন্দী করা হবে, আন্দোলনকারীদের পেটানো হবে। পশ্চিমবঙ্গ যখন এহেন ফ্যাসিবাদী শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন কী ভাবছেন বাম ও গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল ফ্যাসিবিরোধী শক্তির প্রতিনিধিরা? তাঁদের বর্তমান ভাবনা ও কর্মকান্ডই কিন্তু আগামীর ফলাফল নিশ্চিত করবে।

এই প্রবন্ধটি কি আপনার ভাল লেগেছে?

তাহলে মাত্র ৫০০ ভারতীয় টাকার থেকে শুরু করে আপনার সাধ্য মতন এই ব্লগটি কে সহযোগিতা করুন

যেহেতু আমরা FCRA-তে পঞ্জীকৃত নই, অতএব ভারতের বাইরের থেকে সহযোগিতা আমাদের পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব নয়।


আপনার মতামত জানান