আসানসোল আর বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিনহা আর বাবুল সুপ্রিয় কে প্রার্থী করে কী ইঙ্গিত দিলেন মমতা?

রাজনীতি

বহুদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীভারতীয় জনতা পার্টি কে (বিজেপি) পশ্চিমবঙ্গ সহ নানা রাজ্যের বিরোধীরা ওয়াশিং মেশিন হিসাবে কটাক্ষ করে এসেছেন কারণ অন্য দল থেকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তদের নিজেদের দলে গ্রহণ করেই কেন্দ্রের শাসক দল সেই রাজনীতিবিদদের শাপমুক্ত করে থাকে, অর্থাৎ তাদের বিরুদ্ধে চলমান কেন্দ্রীয় তদন্ত বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁর তৃণমূল কংগ্রেসের দুয়ার বিজেপির চরম সাম্প্রদায়িক রাজনীতিবিদদের জন্যে খুলে দিয়েছেন তাতে স্পষ্ট হচ্ছে যে তিনিও এই ওয়াশিং মেশিনের ব্যবসায় পিছিয়ে থাকতে চান না। আসানসোল লোক সভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিনহা কে আর বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের  উপনির্বাচনে বাবুল সুপ্রিয় কে প্রার্থী করে বন্দোপাধ্যায় সেই সিগন্যাল দিলেন রাজ্যের জনগণ কে। 

মোদী সরকারের প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী ও আসানসোলের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ বাবুল ২০১৮ সালের মার্চ মাসে “রাম নবমী” উপলক্ষে সংগঠিত আসানসোল-রাণীগঞ্জ মুসলিম-বিরোধী হিংসায় প্ররোচনা দেওয়া ও তা পরিচালনা করার দায়ে অভিযুক্ত। ষোলো বছরের মুসলিম কিশোর মোহাম্মদ সিবগতউল্লাহ রাশিদী আর ৪৯ বছরের মহিলা ছায়া দেবী এই হিংসায় আসানসোলের রেলপার অঞ্চলে প্রাণ হারান।। বাবুল তৎকালীন বিজেপি নেতা হিসাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল আর তাদের সবার পিতৃপ্রতিম সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) পক্ষ নিয়ে নিজের কেন্দ্রের মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিষাক্ত সাম্প্রদায়িক প্রচার করেন। তিনি মুসলিমদের “জ্যান্ত ছাল ছাড়িয়ে নেওয়ার” হুমকিও দিয়েছিলেন।  

২০১৯ এর নির্বাচনেও বাবুল আসানসোল থেকে জেতেন শুধু মাত্র হিন্দু ভোটের মেরুকরণ করে, সাম্প্রদায়িক বিষ বাষ্প ছড়িয়ে। এর পরে, ২০২১ সালেও তিনি বিধানসভা নির্বাচনের আগের থেকেই উগ্র হিন্দুত্ববাদী প্রচার করেন, মুসলিমদের বাংলা ছাড়া করার কথা বলেন ও আসানসোল লোক সভা কেন্দ্রের অধীন পাঁচটি বিধানসভা আসনেই সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ান। তবুও, ২০২১ সালের জুলাই মাসে মোদী নিজের মন্ত্রিসভায় রদবদল করায় চাকরি যায় বাবুলের। ক্ষিপ্ত হয়ে বাবুল ক্ষমতার আশায় বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন ২০২১ এর সেপ্টেম্বরে। তার আগে অবশ্য লোক সভার সাংসদের পদ ছেড়ে দেন তিনি। 

তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েও বাবুল কিন্তু একবারের জন্যেও তাঁর পুরানো কর্মকান্ডের জন্যে ক্ষমা চাননি। সিবগতউল্লাহ আর ছায়া দেবীর রক্ত যে তাঁর হাতে লেগে আছে, তার জন্যেও তিনি কখনো অনুতপ্ত হননি। একের পর এক বৃহৎ শ্রমিক আন্দোলনের মাধ্যমে গত শতাব্দীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়েছিল যে আসানসোল, সেখানকার বহিরাগত সাংসদ হয়ে সেই অঞ্চল কে ভ্রাতৃঘাতী হিংসার আগুনে ঝলসে দিয়েও তিনি নিরুত্তাপ থাকতে পারেন কারণ তিনি সেই শহরের কেউই না। তাঁর কাছে মানুষের জীবনের চেয়েও বেশি মূল্যবান হল নিজের রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করা। 

সেই বাবুল আজ প্রয়াত সুব্রত মুখার্জির বিধানসভা কেন্দ্র বালিগঞ্জ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন। আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে তিনি মুসলিম অধ্যুষিত বালিগঞ্জ কেন্দ্রে তথাকথিত ধর্ম নিরপেক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের নামে ভোট চাইছেন মুসলিমদের কাছে, যাঁদের তিনি বাংলা ছাড়া করার কথা বলতেন এই এক বছর আগেও। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির কে প্রার্থী তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে এই কেন্দ্রের ব্যাপক মুসলিম জনগণ কিন্তু বাবুলের প্রার্থী হওয়ার বিরোধিতা করছেন। বাম ও কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হয়েছেন সমাজ কর্মী হিসাবে পরিচিত সায়রা শাহ হালিম। 

যদিও বাবুল অভিযোগ করছেন যে বিজেপির বিভাজনমুলক ও বিদ্বেষের রাজনীতির ফলে তিনি নাকি তিতিবিরক্ত হয়েই দল ছেড়েছিলেন, তাঁর অতীতের রেকর্ড, তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টগুলো আর তাঁর কার্যকলাপ, বিশেষ করে মার্চ ২০১৮-র আসানসোলের মুসলিম-বিরোধী দাঙ্গার উস্কানি দেওয়া, “ছাল ছাড়িয়ে” নেওয়ার হুমকি, আজও সাধারণ মুসলিমদের স্মৃতির থেকে মুছে যায়নি। আজ সেই বাবুল কে মাথায় ফেজ টুপি পরে একদল উর্দু ভাষী মুসলিমদের সাথে শাব এ রাতের অনুষ্ঠানে দেখে কোনো সাধারণ মুসলিমের মনে আনন্দ হচ্ছে না বলেই পার্ক সার্কাস সহ বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের জনগণের অভিযোগ। তাঁরা পবিত্র রমজান মাসের অভিবাদনও চান না বাবুলের থেকে। 

অন্যদিকে আসানসোলের জনগণ থেকে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস দলের নেতারাও তাঁদের নেত্রী বন্দোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তে হতবাক। কারণ দীর্ঘ আট বছর ধরে, সেই ২০১৪ সাল থেকে, আসানসোল লোক সভা কেন্দ্রটি কে বন্দোপাধ্যায় বিজেপিকে কোনো অজ্ঞাত কারণে উপঢৌকন দিয়ে যাচ্ছেন। বারবার অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠক ও নেতাদের বাদ দিয়ে, তিনি বহিরাগতদের আসানসোল লোক সভা কেন্দ্রের টিকিট দিয়ে বিজেপির জেতার রাস্তা প্রশস্ত করছেন। এইবারেও তিনি আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের জন্যে কোনো স্থানীয় প্রার্থী কে বেছে নেননি। 

২০০৯ সালের প্রবল বাম-বিরোধী “পরিবর্তনের হাওয়া” বইলেও আসানসোল লোক সভা কেন্দ্রে জয়ী হন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) [সিপিআই(এম)] প্রার্থী বংশ গোপাল চৌধুরী। তারপরে, ২০১৪ সালে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করে শ্রমিক নেত্রী দোলা সেন কে, যাঁর দাম্ভিক আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যাপক সংখ্যক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকেরা বিজেপি প্রার্থী বাবুল কে ভোট দেন। তারপরেও এই বিপর্যয় থেকে শিক্ষা না নিয়ে, বা কোনো অজ্ঞাত কারণে, ২০১৯ সালের লোক সভা নির্বাচনে, বন্দোপাধ্যায় প্রাক্তন অভিনেত্রী মুনমুন সেন কে আসানসোল কেন্দ্রের প্রার্থী করেন। একদিকে বাবুলের ব্যাপক সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ আর অন্যদিকে তথাকথিত মোদী ঝড়ে সেন বহু দূরে উড়ে যান, আর বাবুল আবার আসানসোলের সাংসদ হন। 

যদিও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে বিজেপির অগ্নিমিত্রা পল বাদে আর কোনো বিজেপি প্রার্থীই আসানসোল লোক সভা কেন্দ্রের অধীন কোনো বিধানসভা কেন্দ্রে জেতেননি, যার ফলে বাবুল মন্ত্রিত্ব হারান, তবুও আসানসোল লোক সভা কেন্দ্রে অবাঙালি হিন্দু ভোটারদের একটা বড় সংখ্যা থাকার কারণে, হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিবাদের প্রভাব অনেক তীব্র। ফ্যাসিবাদের এই দাপট ভাঙতে, উত্তর প্রদেশ, বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে সাবর্ণ অবাঙালি হিন্দুদের অনুপ্রবেশ রুখতে আর গুজরাটি ও মারওয়ারী পুঁজির দৌরাত্ম শেষ করতে কোনো পদক্ষেপই তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস নেয়নি। 

বর্তমানে এই সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের ভূমিতে হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিবাদ কে পরাস্ত না করেই, বন্দোপাধ্যায় প্রার্থী করেছেন সিনহা কে। প্রাক্তন হিন্দি সিনেমার বিখ্যাত অভিনেতা এই সিনহা কিন্তু বিজেপির হাত ধরেই রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেন সেই আট-নয়ের দশকে। তিনি বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মূল চক্রান্তকারী হিসাবে অভিযুক্ত লাল কৃষ্ণ আডবাণী আর অটল বিহারী বাজপেয়ীর হাত ধরে, সাম্প্রদায়িক বিভাজনমূলক রাজনীতি শুরু করেন। ২০০৩ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত তিনি বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন। ২০০২ সালে যখন মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গুজরাটে মুসলিম নিধনযজ্ঞ হয়, তখনও সিনহা বিজেপির নেতা ছিলেন, যে দলের সাথে জোট সঙ্গী হিসাবে তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন বন্দোপাধ্যায়। 

২০১৪ সালে মোদী যখন ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হন, তখনও বিহারের পাটনা সাহিব লোক সভা কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জিতে সাংসদ হন সিনহা। এর আগেও তিনি ২০০৯ সালের লোক সভা নির্বাচনে পাটনা সাহিব থেকে নির্বাচিত হন। অথচ, নির্বাচিত হয়েও যেহেতু তিনি মোদীর মন্ত্রিসভার অঙ্গ হতে পারেননি, তাই বেসুরো হয়ে ওঠেন এক কালের হিন্দি সিনেমার দুনিয়ায় সাড়া জাগানো এই অভিনেতা। তারপরে, বাজপেয়ীর আমলের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা ও বিলগ্নিকরণ মন্ত্রী অরুণ শৌরির সাথে মিলে তিনি নিজের পার্টির সরকারের সমালোচনা শুরু করেন ক্ষমতার দর কষাকষি করতে। এর ফলে তিনি মোদীর বিরাগভাজন হন এবং যশবন্ত ও শৌরির মতনই বিজেপিতে ব্রাত্য হন। কোনো ভাবেই বরফ গলাতে না পেরে তিনি ২০১৯ সালে পাটনা সাহিব থেকে কংগ্রেস পার্টির টিকিটে ভোটে দাঁড়ান ও বিজেপির রবি শঙ্কর প্রসাদের কাছে বিপুল ভোটে হেরে যান। 

এহেন সিনহা কে বিহার থেকে বাংলার বুকে উড়িয়ে এনে বন্দোপাধ্যায় কী ইঙ্গিত করছেন? যে ব্যক্তি “বাংলা নিজের মেয়েকে চায়” স্লোগান তুলে, বিজেপিকে বাংলা বিরোধী বহিরাগত বলে বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতলেন তাঁকে নিজের রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের সাংসদ বানাতে নিজের দলের কর্মী আর নেতাদের বাদ দিয়ে কেন এক বহিরাগত হিন্দুত্ববাদী কে তুলে নিয়ে আসতে হচ্ছে? কেন দীর্ঘ আট বছরে তিনি আসানসোলের অসংখ্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতার মধ্যে কোনো যোগ্য মুখ খুঁজে পেলেন না যাঁরা নিজের শহরের সাংসদ হওয়ার নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় নামতে পারে? 

একদিকে আনিস খানের হত্যা, অন্যদিকে বীরভূমের রামপুরহাট গণহত্যা বা দেউচা পচামির কয়লাখনি বিরোধী আন্দোলন দমন, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ধর্মঘট ভাঙ্গা, আজ তৃণমূল কংগ্রেসের আরও একটি হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিবাদী শক্তি হওয়ার অকাট্য প্রমাণ রাজ্যবাসী কে দিচ্ছে। যে মুসলিমেরা গত বছর বিজেপির আগ্রাসনের ভয়ে, সন্ত্রাসের ভয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কে দলে দলে ভোট দিয়েছিলেন আজ তাঁদেরই গণহত্যার শিকার বানিয়ে, বাবুল আর সিনহার মতন হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিবাদী লোকেদের প্রার্থী করে, বিজেপির থেকে লোক ভাঙিয়ে নিজের দল ভারী করে বন্দোপাধ্যায় কী ইঙ্গিত দিচ্ছেন? কোনো অজ্ঞাত কারণেই যে সমস্ত বুদ্ধিজীবী আর তথাকথিত ‘স্বাধীন’ বামেরা চিরকাল বন্দোপাধ্যায় কে “লেসার ইভিল” বা তুলনামূলক ভাবে কম শয়তান বলে এসেছেন, তাঁরা আজ এই সব ঘটনার সময় নিশ্চুপ হয়ে রয়েছেন। 

রুগ্ন শিল্পের স্তরে চলে যাওয়া সিপিআই (এম) আর তার নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট আজ বাবুলের বিরুদ্ধে প্রার্থী করছে সম্ভ্রান্ত উর্দু ভাষী মুসলিম বাড়ির মহিলা হালিম কে। এই ভাবে সিপিআই (এম), যে দল ক্ষমতায় ফেরার তাগিদে বিজেপির দালালি করা শুরু করেছিল কয়েক বছর ধরে, কিন্তু একবারের জন্যেও বলছে না যে বালিগঞ্জ কেন্দ্রে কেন তাঁরা একজন খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি কে, একজন বাঙালি মুসলিম কে বা শ্রমজীবী পরিবারের উর্দু ভাষী মুসলিম কে বালিগঞ্জের প্রার্থী করতে পারলো না? 

আসানসোল লোক সভা কেন্দ্র আর বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি কোনো বিরাট চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারবে না আগের মতন। কিন্তু এই দুই নির্বাচনে মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে, রাজ্যের ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালি হিন্দুদের সাথে বন্দোপাধ্যায় আর তৃণমূল কংগ্রেস যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তার রাজনৈতিক মাশুল গুনতে হবে বহু দিন ধরে। পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম জনগণ ও ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুরা এই ধৃষ্টতা যে ক্ষমা করবেন না, সে কথা বন্দোপাধ্যায়ের দেওয়াল লিখন দেখে বুঝে যাওয়া ভাল।

এই প্রবন্ধটি কি আপনার ভাল লেগেছে?

তাহলে মাত্র ৫০০ ভারতীয় টাকার থেকে শুরু করে আপনার সাধ্য মতন এই ব্লগটি কে সহযোগিতা করুন

যেহেতু আমরা FCRA-তে পঞ্জীকৃত নই, অতএব ভারতের বাইরের থেকে সহযোগিতা আমাদের পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব নয়।


আপনার মতামত জানান